একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ‘ইকিউ কোটা’ কী? কারা পাবেন এই বিশেষ সুবিধা, জানুন বিস্তারিত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির hectic প্রক্রিয়ার মধ্যেই একটি বিশেষ নির্দেশনা অভিভাবকদের নজরে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ‘ইকিউ’ বা শিক্ষা কোটার সুবিধা রাখা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক চিঠিতে সম্প্রতি এই কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলুন, এই ‘ইকিউ কোটা’ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ইকিউ কোটা: একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্তানদের ভর্তির নিয়ম

একাদশ শ্রেণি ভর্তি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ইকিউ (শিক্ষা) কোটার বিস্তারিত জানুন। মাউশি-এর অধীনে কর্মরতদের সন্তানরা কীভাবে এই সুবিধা পাবে, দেখুন।

এই লেখায় যা জানবেন

  • ইকিউ (EQ) কোটা আসলে কী?
  • কারা এই কোটার সুবিধা পাওয়ার যোগ্য?
  • ভর্তির প্রক্রিয়াটি কীভাবে কাজ করে?
  • এই কোটা নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর।

ইকিউ (EQ) বা শিক্ষা কোটা কী?

ইকিউ (EQ) কোটা বা শিক্ষা কোটা হলো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একটি বিশেষ কোটা, যা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরতদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন সহজ করা।

যারা এই কোটার সুবিধা পাবেন

  • সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
  • সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
  • মাউশি-এর অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও বোর্ডের নির্দেশনা

আপনারা হয়তো ভাবছেন, এই কোটায় আবেদন বা ভর্তির প্রক্রিয়াটা কেমন? একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির মূল অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার সময়েই কোটা পছন্দের সুযোগ থাকে। একজন শিক্ষার্থী আবেদন করার সময় তার অভিভাবকের কর্মস্থলের প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য নথি প্রদান করে এই কোটার জন্য আবেদন করে।

সাম্প্রতিক (১০ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চিঠিতে মূলত সেই সব শিক্ষার্থীদের নিয়েই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছে এবং ‘ইকিউ কোটা-২’-এর অধীনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা যোগ্য প্রার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করে। যেহেতু ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ১১ আগস্ট শেষ হয়েছে, এখন মূল ফোকাস হলো নির্বাচিতদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

‘ইকিউ কোটা’ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরতদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। এটি তাদের সন্তানদের ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তবে এই কোটার সঠিক এবং স্বচ্ছ প্রয়োগ নিশ্চিত করাও জরুরি। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুরো প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুনএসএসসি ২০২৫: উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবহেলা, ৭১ শিক্ষক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ! তালিকা ও বিস্তারিত জানুন

Leave a Comment